হাঁচি-কাশি কমানোর উপায়। ভাইরাসের সংক্রমণজনিত কাশি বিস্তারিত জানাচ্ছেন। ডাঃ হাফেজ ক্বারী মোঃ মাহবুবুর রহমান।

 

 

একটু সতর্কতা এবং কিছু উপায় জানা থাকলে অনেক সময় সহজেই এড়াতে পারবেন হাঁচি-কাশির মতো ছোট খাট কিন্তু নিরাময়ের অসুখ।

হাঁচি-কাশি কমানোর উপায় একটু সতর্কতা এবং কিছু উপায় জানা থাকলে অনেক সময় সহজেই এড়াতে পারবেন হাঁচি-কাশির মতো ছোট খাট কিন্তু নিরাময়ের অসুখ। বিস্তারিত জানাচ্ছেন। হাঁচি-কাশি কমানোর উপায় বাসক পাতার রস দুই চা চামচ অল্প গরম করে নিন। এরপর ঠাণ্ডা করে মধু মিশিয়ে আধা চা চামচ করে খেলে কাশি কমবে ঋতু পাল্টাচ্ছে। এ সময় ঠাণ্ডা-কাশি, হাঁচি ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া অ্যালার্জিজনিত কারণেও হাঁচি হতে পারে। তাই এ সময় নিজের একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। হাঁচি বা কাশি হলে প্রাথমিক অবস্থায়ই নিরাময় করা উচিত। এর জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। হাঁচি-কাশি কাশি হলে গরম পানিতে লবঙ্গ ও আদা ১৫ মিনিট ঢেকে সিদ্ধ করুন। তারপর তাতে সামান্য লবণ মিশিয়ে খান।

আদা ও লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে দিনে দুবার খান। কাশি কমে যাবে। এক চা চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে তিনবার খান। আরাম পাবেন। আঙুরের রস কাশি খুব দ্রুত উপশম করতে সাহায্য করে।

গাজর, টমেটো ও কমলালেবুর রস ওভেনে ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম করে পান করুন। কাশি কমে যাবে। প্রতিদিন এক চা চামচ সরিষার তেল খান। এড়ানোর উপায় অনেক সময় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বসবাসের কারণে হাঁচির উপদ্রব হতে পারে। ঘর সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখুন। মাঝেমধ্যে জানালা খুলে দিন। এতে ঘরে রোদ প্রবেশ করবে ও স্যাঁতসেঁতে ভাব কেটে যাবে। উলের জামাকাপড় পরার আগে কড়া রোদে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বাড়িতে চট বা উলের পাপোশ বা কার্পেট ব্যবহার করবেন না। ধুলোবালি এড়িয়ে চলুন। বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক পরিধান করুন। ঠাণ্ডাজনিত কারণে হাঁচি-কাশি হলে হালকা গরম পানিতে স্নান সেরে নিন ও চুল ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। জামাকাপড় ধোয়ার পর কড়া রোদে শুকিয়ে ইস্ত্রি করে পরিধান করুন।

হাঁচি কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তির বা কাশি বা হাঁচি থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে অবস্থান করুন। সর্দি-কাশির জীবাণু খুব সহজেই আপনার নাক ও কানের ভেতর দিয়ে সংক্রমিত হতে পারে। হাত সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। হাঁচি বা কাশির সঙ্গে নির্গত ঠাণ্ডার জীবাণু যেকোনো বস্তুতে লেগে থাকতে পারে। স্পর্শের মাধ্যমে তা থেকে সংক্রমিত হতে পারেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। দিনে আট গ্লাস পানি গ্রহণ করলে শরীরের বিশুদ্ধ পদার্থ টক্সিন বের করে দেয়। আঙুল দিয়ে ঘন ঘন নাক অথবা চোখ খুঁটবেন না। বিছানায় শুয়ে না থেকে হাঁটাহাঁটি বা হালকা ব্যায়াম করুন। রাতে যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমান। পর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কম চর্বিযুক্ত খাবার খান। প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান সরবরাহ করে এমন খাবার খান, যা দেহকে ঠাণ্ডা সর্দির জীবাণুর সঙ্গে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। কফ, কাশি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলাব্যথা, জ্বর ইত্যাদি উপসর্গে ডাক্তারের পরামর্শে সুনির্বাচিত ওষুধ প্রয়োজনে গ্রহণ করুন। ভাইরাসের সংক্রমণজনিত কাশি

ঋতুর পরিবর্তন ঘটছে । এ সময় প্রতিবছরই সর্দি–কাশির প্রকোপ বাড়ে । এবার তার সঙ্গে তো বিশ্বজুড়ে চলমান করোনাভাইরাসের মহামারি রয়েছেই । এ ভাইরাসের সংক্রমণেরও প্রধান উপসর্গ কাশি । তাই এ সময় কাশি হলে সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ছেন, করোনা হলো না তো, নাকি সাধারণ অ্যালার্জি বা ফ্লু ? কাশি কমাতেই–বা কী করবেন ? শ্বাসনালিতে ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কাশি হয় । সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেলে কাশিও তীব্র হয় । এই কাশি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিজে নিজেই সেরে যায় । কিন্তু অনেক সময় কাশি কয়েক মাসও স্থায়ী হতে পারে । কারণ, ভাইরাসের কারণে শ্বাসনালি ফুলে ও অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে যেতে পারে । ফলে কাশির স্থায়িত্বকাল বাড়ে । এমনকি সংক্রমণমুক্ত হওয়ার পরও কাশি থাকতে পারে। মনে রাখতে হবে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না; বরং অনাবশ্যক অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগের ফলে শরীর ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে পড়ে । ফলে সামান্য ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও সারিয়ে তোলা কঠিন হয়ে যায় । কাজেই সাধারণ ভাইরাসজনিত কাশিতে বা মৌসুমি জ্বর–কাশি হলে চট করে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া চলবে না। অনেকে কাশি হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধের দোকান থেকে কফ-সিরাপ কিনে খাওয়া শুরু করে দেন । এটিও কোনো সমাধান নয় । এতে যে কেবল বেশি ঘুম পায়, তা নয়; বাজারে চলতি কফ-সিরাপগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অনেক সময় খিঁচুনি, ঝিমুনি, অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, কিডনি, যকৃতের সমস্যাসহ নানা ক্ষতি হতে পারে ।

কাশির সিরাপে হাইড্রোকার্বন থাকে । মূলত বুকব্যথা ও কাশি দমনে এটা ব্যবহৃত হয় । হাইড্রোকার্বন একধরনের মাদক, যা ক্ষতিকর । এটা ছাড়াও কাশির সিরাপে অনেক উপাদান থাকে, যেগুলোর কারণে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, ঝিমুনি আসে, ঘুম ঘুম ভাব হয় । সিরাপের মরফিন স্নায়ু ও পেশিকে শিথিল করে দেয় । এফিড্রিনের কারণে শ্লেষ্মা শুকিয়ে যায় । কাজেই কাশি বা মৌসুমি সর্দি–জ্বর হলেই ওষুধের দোকানে ছোটা, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো প্রকার ওষুধ সেবন চলবে না। কিছু উপদেশ মেনে চললে মৌসুমি কাশিতে আরাম পাওয়া যেতে পারে: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন । এতে কফ পাতলা হবে। গরম পানির ভাপ নিতে পারেন । এতেও কফ পাতলা হবে । তবে করোনাভাইরাসসহ অন্যান্য ভাইরাস এতে মরে না । গরম পানির ভাপ নিলে গলায় খুশখুশ কমে, আরাম পাওয়া যায়। শুকনা কাশি থাকলে ও গলা খুশখুশ করলে হালকা গরম পানিতে একটু লবণ দিয়ে কুলকুচি বা গার্গল করুন । মুখে কোনো লজেন্স, লবঙ্গ বা আদা রাখলেও আরাম পাবেন। হাঁপানি ও অ্যালার্জির রোগীরা এই সময় সাবধান থাকুন। কারণ, এখন ধুলাবালু ও আবহাওয়ার আকস্মিক পরিবর্তনের সময়। এ সময়ই হাঁপানির জটিলতা বাড়ে । প্রয়োজনে ইনহেলার ব্যবহার করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন যখন কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হলে, রক্ত এলে, কাশতে কাশতে শরীর নীল হয়ে গেলে বা প্রচণ্ড জ্বর থাকলে, কথা বলতে কষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন । যেকোনো কাশি দুই বা তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকলে অবশ্যই বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হবেন। কলিকাতা হারবাল হাকিম ডা:মো: মাহাবুবুর রহমান!(রেজিষ্টার্ড হারবাল স্পেশালিস্ট যৌন. ডায়াবেটিস, চর্ম,সাস্থ্যহীনতা.মেদভুড়ি. হাঁপানি,বাত বেথা.হেপাটাইটিস (বি -ভাইরাস).অশ্ব গেজ.ও মহিলা রোগে (17 বৎসরের অভিঙ্গতা) কলিকাতা হারবাল মোঃ পুর বাস স্টান্ড আল্লাহ করিম মসজিদ মার্কেট দ্বিতীয় তলা 01971198888 /ইমু নাম্বার 01741331199 http://www.kolikataherbalcare.com/





সাম্প্রতিক আপডেটস

Back To Top