রসুনে ৪০টির ও বেশি উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন, পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
রসুনের উপকারিতা আমরা কম বেশি সবাই জানি। সুস্থ থাকতে রোজ খান এক কোয়া কাঁচা রসুন। সকালে খালি পেটে খেতে হবে এমন নয়৷ বিকেল–দুপুর বা রাতে খেতে পারেন ৷ তবে খেতে হবে কাঁচা ৷ সাধারণ রসুনেরই একটা কোয়া খেতে পারেন৷ তবে হাই প্রেশার বা কোলেস্টেরল থাকলে খান ৩–৪টি করে৷ এক্ষেত্রে প্রেশার বা কোলেস্টেরলের ওষুধ বন্ধ করবেন না৷ সঠিক খাবার, ব্যায়াম ও চেকআপ চালিয়ে যাবেন৷
খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতকে চিন ও ভারতে রক্ত পাতলা রাখার জন্য এর প্রচলন ছিল ৷ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস একে ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যান্সারের চিকিৎসায়৷ লুই পাস্তুর এর অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণের খবর জানান৷ সময়ের সঙ্গে আরও উপকারের কথা জানা গেছে৷
আর আধুনিক বিজ্ঞানীরা জানালেন, হৃদরোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকার কথা৷ ইউনিভার্সিটি অব কানেক্টিকাট স্কুল অব মেডিসিন–এর কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ টিমের মতে, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে ৷ চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা রসুনের উপকারিতা।
রক্তচাপ কমায়৷ চার কোয়া করে খেলে সে রক্তচাপ কমানোর ওষুধের সঙ্গেও পাল্লা দিতে পারে কিছু ক্ষেত্রে৷
টোটাল এবং এলডিএল কোলেস্টেরল প্রায় ১০–১৫ শতাংশ কমে যায়৷ তবে উপকারি কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়াতে ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এর কোনও ভূমিকা নেই৷
বিপাকীয় ক্রিয়া ও পরিবেশ দূষণের ফলে যে ফ্রি র্যাডিক্যালস তৈরি হয় তা হার্ট তথা সমস্ত শরীরের জন্য ক্ষতিকর৷ রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেই ক্ষতি খুব ভাল ভাবে ঠেকাতে পারে৷
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দৌলতে কমে অ্যালঝাইমার ও ডিমেনসিয়ার প্রকোপ৷ সংক্রমণজনিত অসুখবিসুখ কম হয়, বাড়ে আয়ু৷
ইস্ট্রোজেন লেভেল বেড়ে হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল হয় মেয়েদের৷ তবে এ নিয়ে শেষ কথা বলার সময় এখনও আসেনি৷
জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত প্রবন্ধে কাঁচা ও শুকনো রসুনের প্রভাব বিচার করেছেন বিজ্ঞানীরা ৷ ল্যবরেটরিতে বড় হওয়া দু’দল ইঁদুরের মধ্যে এক দলকে বেশ কিছু দিন ধরে খাওয়ানো হয় টাটকা কাঁচা রসুন, আর এক দলকে শুকনো রসুন৷ এর পর তাদের মধ্যে হালকা হার্ট অ্যাটাক সৃষ্টি করিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেন, কোন গ্রুপের ইঁদুর কী ভাবে সামলাচ্ছে এর ধাক্কা ৷
দেখা যায়, হার্ট অ্যাটাকের ফলে অক্সিজেনের অভাবে হার্টের পেশির যে ক্ষতি হয়েছে, দু’দল ইঁদুরই তা সামলেছে প্রায় একই রকম দক্ষতায় ৷ তবে যারা কাঁচা রসুন খেয়েছিল, এই বিপর্যয়ের পরেও তাদের হার্টের মূল ধমণী দিয়ে রক্ত সঞ্চালন বেশি ভাল ভাবে হয়েছে ও হার্টের মধ্যে এমন কিছু পরিবর্তন হয়েছে যাতে চট করে রোগের ধকল সামলে উঠেছে তারা৷
এ ব্যাপারে মানুষের ওপর পরীক্ষা এখনও না হলেও মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায়, কাঁচা রসুনের যত উপকার, প্রক্রিয়াকরণের পরে আর তত থাকে না ৷
শরীরের ব্যাথা দূর করে
শরীরের ব্যথা উপশমের জন্য রসুনের উপকারিতা রয়েছে যে কোনও অংশে ব্যাথা হলে কানে এক টুকরো রসুন রাখুন। এতে হয়ত আপনার শরীর থেকে গন্ধ ছাড়বে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা উপকারী। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্যাথার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
রোগ নিরাময়কারী
কানে এক খন্ড রসুন রাখলে সেটা আপনার শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণতা দেবে। জ্বর, মাথাব্যাথা, ফোলা এবং কানের যন্ত্রণা দূর করবে।
কানের যন্ত্রণা দূর করে
এক টুকরো রসুন কানে দিয়ে রাতে শুয়ে পড়ুন। পরদিন সকালে তাজা বোধ করবেন। কানের যন্ত্রণারও উপশম হবে।
কাশি সারায়
খুকখুকে কাশি হলে রসুন থেঁতো করে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে প্রতি দুঘণ্টা অন্তর খান। আধ বেলার মধ্যে উপকার মিলবে।
নিয়মিত রসুন খেলে হার্ট ভালো থাকে
রসুন সঠিক রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর মাধ্যমে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। প্রতিদিন সকালে ১ থেকে ২ কোয়া রসুন খেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়
রক্তনালীকে চওড়া করায় রক্তপ্রবাহ মসৃণ হয়। তাই খালি পেটে এক কোয়া রসুন নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে।
চামড়া ভালো রাখে
রসুন দাদ, চুলকানির মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করে। শরীরের আক্রান্ত অংশে রসুনের কোয়া ঘসে দিন। অব্যর্থ ফল মিলবে।বাতের ব্যাথা সারায়
ফোলা থেকে ব্যাথা বেদনা সারাতে দারুণ কাজ দেয় রসুন। খালি পেটে খেলে বাতের হাত থেকে মুক্তি মেলে। সবথেকে ভালো হয় যদি নিয়মিত এক কোয়া রসুন খাওয়া যায়।অ্যালার্জি দূর করে
প্রতিদিন এক টুকরো রসুন খেলে অ্যালার্জির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। শরীরে র্যাশ, ব্রণ বা হাজা হলে সেখানে রসুন থেঁতো করে লাগালে তক্ষনি আরাম পাবেন।
দাঁতের যন্ত্রণার উপশম করে
রসুনের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা দাঁতের রাসায়নিকের সঙ্গে লড়ে। দাঁতে যন্ত্রণা হলে রসুনের তেল বা থেঁতো করে নির্দিষ্ট দাঁতে লাগান। তত্ক্ষণাত্ আরাম মিলবে। এখানে রসুনের কয়েকটা উপকারিতা নিয়েই আলোচনা করা গেল। এর বাইরেও হাজার রকমের গুণ আছে রসুণের। নিয়মিত এক কোয়া রসুন খেলে শরীর সুস্থ থাকার সঙ্গে মনও থাকবে ফুরফুরে।
পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি
রসুনের গুণের শেষ নেই। পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সেই কোন প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার করা হয় রসুন। পেনিসে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে রসুনের তুলনা নেই।
ইরেকশনজনিত কোনও সমস্যা থাকলে রোজ তিন-চার কোয়া কাঁচা রসুন খেলে কাজ হবে ম্যাজিকের মত। এক মাস এই রুটিন মেনে চলার পর ইচ্ছা হলে সপ্তাহে তিন দিন এই নিয়ম মেনে চলুন। রান্নাতেও অনেক বেশি রসুন ব্যবহার করুন। কয়েক মাসের মধ্যেই আপনার ইরেকশনজনিত সমস্যা অনেকাংশে কমে যেতে বাধ্য।
যে ২৫টি উপায়ে নিজেকে আকর্ষণীয় ও স্টাইলিষ্ট করে তুলতে পারেন!
রসুনের উপকারিতা বাড়াতে মেদ ঝড়ানোয় মন দিন। আপনার স্বাস্থ্য ভাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যৌন ক্ষমতাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে।
রসুন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফসফরাস, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ক্লোরিন, সেলেনিয়াম, জিংক ও ভিটামিন ‘সি’। এটি চমৎকার অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ফাংগাল, অ্যান্টি-ভাইরাল হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের বিভিন্ন রোগবালাই থেকে দূরে রাখে। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন কেন খাবেন?রসুনের উপকারিতা
প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক
রসুনে থাকা ভিটামিন ‘সি’র কথা বিশেষভাবে বলতে হয়। কেননা এই ভিটামিন স্কার্ভি রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। একই সঙ্গে তা রক্তনালি নমনীয় রাখে।
রক্ত চলাচলে সহায়তা
রসুনে ‘অ্যাজোইন’ নামক এক রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। এ পদার্থ নির্বিঘ্নে রক্ত চলাচলে সহায়তা করে। পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। একই সঙ্গে রক্তের কোলেস্টরেল কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
হরমোন নিঃসরণ
রসুনে থাকা সালফার আমাদের শরীরের নানা হরমোন নিঃসরণ করতে সহায়তা করে।
হৃদরোগজনিত সমস্যা
হৃদজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভীষণ কার্যকর এ ভেষজ। ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রমাণিত, এটি উচ্চ রক্তচাপও কমিয়ে দেয়।
রোগজীবাণু ধ্বংস
রসুনে থাকা ‘অ্যালিসিন’ পদার্থ ক্ষত সারাতে ভূমিকা রাখে। তাছাড়া পদার্থটি যক্ষা, আমাশয়, টাইফয়েড প্রভৃতির রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
ঠান্ডা কমায়
ঠান্ডা লাগা, গলা বসে যাওয়া কিংবা গলাব্যথা, মাথাব্যথা, গেঁটে বাত, হাঁপানি, ব্রংকাইটিসের সমস্যায় রসুন চিবিয়ে খেলে এ ধরণের সমস্যাগুলো একেবারেই থাকে না।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী মসলা এই রসুন। এটি ব্লাড সুগার কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হজমের সমস্যা দূর করে
লিভারের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং হজমের সমস্যা দূর করে এ ঔষধি। অ্যালার্জি সারিয়ে তুলতে এর ভূমিকা সুবিদিত।
ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আনে
অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন ফুড পয়জনিং নিবারণ করে এ মসলা।
প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক
গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে একটি শক্তিশালীঅ্যান্টিবায়োটিক এর মত কাজ করে। সকালে নাস্তার পূর্বে রসুন খেলে এটি আরও উপকারিভাবে কাজ করে। বিশেষ করে খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং তখন রসুনের ক্ষমতার কাছে ব্যাকটেরিয়াগুলো হেরে যায়। ফলে শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসমূহ আর রক্ষা পায় না।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তারা দেখেছেন, রসুন খাওয়ার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ ভাল দেখা যায়। এর কারন রসুন খাওয়ার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়।অন্ত্রের জন্য ভাল
খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এই রসুন হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। তাই এই রসুন ক্ষুদামদা ভাব দূর করতে অনেক সহায়ক। রসুন স্ট্রেস দূর করতেও সক্ষম।
স্ট্রেস বা চাপের কারনে আমাদের গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, খালি পেটে রসুন খেলে এটি আমাদের স্নায়বিক চাপ কমিয়ে এ সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।তাছাড়া পরিপাকতন্তেরও নানা সমস্যা দূর করে এই রসুন।
শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে
অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করতে অনেক উপকারি।
শ্বসন
রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুনের মধ্যে সকল রোগ আরোগ্যের করার উপায় সৃষ্টিকারি উৎস বিদ্যমান রয়েছে।
যক্ষ্মা প্রতিরোধক
রসুনে এতো উপাদান যে যদি আপনার যক্ষ্মা বা টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে থাকলে। যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে করা সম্ভাব।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
রোগ-প্রতিরোধে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে নাস্তা শেষে এক কোয়া রসুন গিলে ফেলেন। চিবিয়ে খাবেন না, শুধু গিলে ফেলবেন। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
হজমের সমস্যা মুক্তি
২/৩ টি রসুনের কোয়া কুচি করে সামান্য ঘিয়ে ভেজে নিন। এটি সবজির সাথে কিংবা এমনি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে হজমের নানা সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন। এবং কোস্টকাঠিন্যের সমস্যা সমাধান হবে।
হৃদপিন্ডের সুস্থতায়
হৃদপিন্ডের সুস্থতায় রসুন অনেক উপকার করে থাকে। রসুন কোলেস্টরল কমাতে খুবই সহায়ক। এই কারনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কম থাকে। সুতরাং হার্ট এর জন্য রসুন অনেক উপকারি। যে প্রতিদিন রসুনের কয়েকটি কোয়া কাঁচা বা আধা সিদ্ধ করে সেবনে কেলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে। আর রক্তচাপ ও রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক রাখতেও রসুন কাজ করে।
প্লাক জমাতে বাধা প্রদান করে
রসুন শিরা-উপশিরায় প্লাক জমাতে বাধা প্রদান করে। তাছাড়া রসুন শিরা-উপশিরার মারাত্নক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে রক্ষা করে। শিরা-উপশিরায় রক্ত জমাট বাধাতেও সাহায্য করে।
গিট বাতের সমাধানে
রসুন গিট বাতের রোগে অনেক উপকার করে থাকে। নিয়মিত ২ কোয়া করে খেলে গিটের বাত সেরে যেতে পারে।
শরীরের পোঁড়া সারাতে
রসুনের রস শরীরের যে কোন পুজ ও ব্যথাযুক্ত ফোড়া সারাতে সাহায্য করে থাকে। যেখানে এই পুজ বা ফোড়া হবে, সেখানে রসুনের রস লাগিয়ে ১৫মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেললে অতি তাড়াতাড়ি সেইটার নিরাময় হয়। দাদ, খোস পাচড়া ধরনের চর্মরোগ থেকে রসুন উপকার দেই। চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্তনা থেকে মুক্তি দেয় এই রসুন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে এই রসুন।গলব্লাডার ক্যান্সার হওয়া থেকেও মুক্ত রাখে। মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের ঝুকি কমায়। এমনকি রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে। রসুন প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। এই রসুন ইস্ট ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া নিয়মিত রসুন সেবনে শরীরে সব ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়।
ব্রনের সমস্যা দূর করতে
রসুনের মধ্যে অনেক গুন আছে। এটি ব্রনের সমস্যায় অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় শরীরে আঁচিল হয়ে থাকে, এই রসুনের রস আচিলের ক্ষেত্রে উপকার করে।
পেটের কৃমি নিরাময়ে
রসুন পেটের কৃমি নিরাময়ে অনেক উপকার করে থাকে। সুতরাং রসুন দেহের অভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমিধ্বংসকরে।
রক্ত পরিষ্কার রাখে
রক্ত পরিষ্কারে প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোয়া ও এক গ্লাস পরিমাণ গরম পানি সেবন করতে হবে। আর দিনে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এতে রক্ত পরিষ্কার হবে এবং ত্বক ভালো থাকবে। আর ওজন কিছুটা কমাতে চাইলে সকালে রসুনের সাথে পান করা গরম পানিতে কিছুটা লেবুর রস দিতে হবে।
ঠান্ডা ও জ্বরে
প্রায়ই ঠান্ডা ও জ্বরে পড়েন এমন ব্যক্তিদের জন্য রসুন হতে পারে এক মহৌষধ। শরীর থেকে জ্বর আর ঠান্ডা দূর করতে প্রতিদিন দু-তিন কোয়া রসুন কাঁচা খেতে হবে। এ ছাড়া রান্না করা বা চায়ের সাথেও রসুন খেতে পারেন।
আর রসুনের গন্ধ খারাপ লাগলে এর সাথে আদা ও মধু মিশিয়ে নেওয়া জেতে পারে। এভাবে নিয়মিত সেবনে ঠান্ডা ও জ্বর শুধু সাময়িক দূর হবে না বরং শরীরে এগুলোর প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়বে।
ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে
ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে হাজার বছর ধরেই রসুন ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের কৃমি দূর করতে রসুনের নির্যাস ভালো কাজ করে। রসুনের নির্যাস থেকে ‘মাউথ ওয়াশ’ (মুখের ভেতর পরিষ্কারের তরল) তৈরি করা যায়। এটি নিয়মিত ব্যবহারে মাড়িতে ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার বন্ধ হয়ে যায়।
কাটা সারিয়ে তুলতে
রসুনের উপকারিতা অনেক ব্যবহার বিস্তার হয়ে গেছে, যার একটি হলো কাটা সারিয়ে তোলা। কাঠ বা বাঁশে ছোট টুকরো শরীরে কোথাও ঢুকে গেলে তা বের করে সেখানে রসুনের কোয়া কেটে লাগিয়ে দিতে হবে। একই সাথে শরীরের ওই অংশে ব্যান্ডেজ করে দিতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে উঠবে ওই কাটা স্থান।
চোখের যত্নে রসুন
রসুন চোখের ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে। আবার দাঁতের ব্যথা সারাতে রসুন সহায়তা করে থাকে।
ত্বকে যত্ন
রসুনের উপকারিতা ও গুণাবলী সম্পর্কে কম বেশি সবারই আমাদের জানা। হার্ট সুস্থ রাখা থেকে শুরু করে ওজন কমানো পর্যন্ত রসুনের ভূমিকা রয়েছে। আপনি কি জানেন ত্বকের যত্নেও রসুনের জুড়ি নেই। ত্বকের যত্নে রসুন! অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়? কিন্তু ব্রণ এবং ব্রণের দাগ নিমিষে দূর করে দিতে পারে এই রসুন। এক কথায় ত্বকের যত্নে রসুনের ব্যবহার অপরিসীম।
অনেক আগ থেকেই দৈনন্দিন জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে। এ ছাড়া অলিম্পিক গেমের ক্রিয়াবিদরা প্রতিযোগিতায় ভালো করার জন্য রসুন খেয়ে থাকেন। প্রাচীন চিন ও জাপানে রসুনকে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ভারতে হৃদরোগ ও গাটে ব্যথা প্রতিরোধে দীর্ঘকাল ধরেই রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে। আসুন আমরা জানি এবং তা মেনে চলে শরীর নামক মেশিনটাকে যতটা সম্ভব সুস্থ রাখতে চেস্টা করি।
রসুনের অপকারীতা
রসুন যত উপকার ততটা ক্ষতিকর। দিনে ২ কোয়ার বেশি কাঁচা রসুন খাওয়া যাবে না। রান্নায় এটি ব্যবহার হলেও দিনে মাত্র ২ কোয়া রসুন ব্যবহার করতে হবে । যাদের রসুন খাওয়ার ফলে এলার্জি হবার আশঙ্কা থাকে বা হয় তাদেরকে অবশ্যই কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
যাদের রসুন খাওয়ার ফলে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়, বমির প্রাদুর্ভাব হয় বা অন্য কোন সমস্যা দেখা দেয় তাদের জন্য কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভাল। আবার অতিরিক্ত খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতেও পারে তাই বেশি রসুন খাওয়া ঠিক নয়।
অনেকের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদ জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভাল। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুরপাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে।
অনেকের রসুনের গন্ধ সহ্য হয় না। এখন রসুনকে ঔষধের বড়ি হিসেবে তৈরি করার জন্য তাদের সুপারিশ করা হয়েছে। রসুন নরম হয়ে গেলে বা সবুজ রঙ দেখা দিলে সেই রসুন কিনবেন না। কারণ এসব রসুনের কার্যগুন নষ্ট হয়ে যায়।
কেনার সময় মাঝারি আকারের রসুন কিনতে হবে। রসুন বন্ধ পাত্রে না রেখে খোলা পাত্রে রাখা ভাল। ভুলেও রেফ্রিজারেটরে রসুন রাখবেন না। এতে করে রসুন নরম হয়ে যাবে।নরম রসুন স্বাস্থ্যকর নয়। ভাজার জন্য বা কারি পেস্টের জন্য রসুন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রিয় পাঠক, আপনিও কলিকাতা হারবাল ডটকমের অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইল বিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ ইনবক্স করুন- আমাদের ফেসবুকে প্রতিদিনের স্বাস্থ্য টিপস লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।
যৌন রোগের সঠিক সমাধান।লজ্জা না করে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত ঔষধে সুচিকিৎসা ও ভাল পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
(বিস্তারিত আরও কিছু জানার জন্য ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করুণ।
কলিকাতা হারবাল
হাকিম ডা: হাফেজ ক্বারী মো: মাহাবুবুর রহমান! ডি.ইউ.এম.এস, ঢাকা।এমডি ষটাডী ভারত!!
(রেজিষ্টার্ড হারবাল স্পেশালিস্ট
যৌন. চর্ম .সাস্থ্যহীনতা.মেদভুড়ি. হাঁপানি,বাত বেথা. হেপাটাইটিস (বি -ভাইরাস). অশ্ব গেজ. ও মহিলা রোগে (17 বৎসরের অভিঙ্গতা)
সরাসরি যোগাযোগের ঠিকানা: মোহাম্মদপুর বি.আর.টি.সি বাসস্ট্যান্ড আল্লাহ্ করিম মসজিদ মার্কেট ২য় তলা মোহাম্মদপুর ঢাকা-১২০৭
হট লাইন-01763663333
ডাঃ মোঃ মাহাবুবুর রহমান
ইমু নাম্বার 01971198888 বাংলাদেশের
http://www.kolikataherbalcare.com/